শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

মোবাইল ফোনে বাংলা ডিকশনারী

সাধারণত মোবাইলে কোন এপ্লিকেশন ইন্সটল করতে গেলে কম্প্যাবিলিটি নিয়ে সমস্যা দেখা দেয় মানে সকল মডেলের মোবাইল ফোনে সকল ধরণের সফটওয়্যার ইন্সটল হয় না। আমার দেওয়া এই সফটওয়্যারটি তৈরী করেছেন বাংলাদেশের ব্যক্তি মো: ওয়ালিউল ইসলাম মন্ডল ভাই যা সকল ব্র্যান্ডের জাভা সমর্থিত মোবাইলফোনেই চলে তাই এটি ব্যবহার স্বস্তিদায়ক।

মোবাইলে বাংলা ডিকশনারী থাকলে বিভিন্ন সময় তা আমাদের প্রয়োজনে সাহায্য করতে পারে। অত্যন্ত ব্যবহারবান্ধব এই ডিকশনারীটি আপনি ডাউনলোড করে আপনার মোবাইল ফোনে ইন্সটল করে নিতে পারেন।

ভারতের ভিসা যেভাবে প্রসেস করবেন (Online Application)

আমাদের মধ্যেই অনেকে নানা কারণে ভারত ভ্রমণে আগ্রহী। কিন্তু বর্তমান সময়ের নিয়ম অনুযায়ী কেউ ভারতে যেতে চাইলে অবশ্যই তাকে অনলাইনে ভিসা ফরম পূরণ করে একটি এপয়েন্টমেন্ট তারিখ অনুযায়ী ভিসা অফিসে যেতে হবে। এই নিয়ম অনুযায়ী প্রথমত আপনাকে www.ivacbd.com অর্থাৎ ভারতীয় ভিসা এপ্লিকেশনের সাইটে গিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। এই ফরমটি অবশ্যই অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পূরণ করা উচিত কারণ ভূলের কারণে ফরম বাতিল হতে পারে।

এখানকার উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো পাসপোর্ট অনুযায়ী যাবতীয় তথ্যাবলী এবং কোন ধরণের ভিসা, কতদিনের ভিসা, কোন রুটে যাবেন, ইন্ডিয়ান একজন রেফারেন্স এবং হোটেলের তথ্য ইত্যাদি পূরণ করতে হয়। ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করার পর উপরে থাকা টেম্পোরারী আইডি নং টি অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে এবং ফরম পূরণ হলে আপনাকে একটি ফাইল নং দেয়া হবে পরবর্তী প্রসেসিং যেমন ফাইল প্রিন্ট করার জন্য। এই কাজগুলো খুব সহজ কিন্তু আপনাকে সামান্য সমস্যায় পড়তে হবে এপয়েন্টমেন্ট তারিখ পেতে। কারণ সাধারণত চাইলেই এই তারিখ পাওয়া যায় না। আপনার সংরক্ষিত টেম্পোরারী আইডি নং, ফাইল নং এবং জন্ম তারিখ ব্যবহার করে বার বার চেষ্টা করতে হবে এপয়েন্টমেন্ট তারিখ পেতে। অবশেষে যখন তারিখ পাবেন তখন পূরণকৃত ফাইলটি প্রিন্ট অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে উল্লেখিত তারিখে আপনাকে যেতে হবে ভিসা অফিসে এবং সুষ্ঠূভাবে অন্যান্য কাজগুলো করে নিলেই হতে পারে আপনার ভারতভ্রমণের সুযোগ। ধন্যবাদ সবাইকে।

কম্পিউটার থেকে আপনার ফোল্ডার অপশন অদৃশ্য হলে কি করবেন

কম্পিউটার চালনায় প্রতিনিয়তই আমরা মুখোমুখি হই বিভিন্ন ধরণের সমস্যায়; আর এসকল সমস্যারই কিছু সমাধান নিয়ে সিরিয়াল ব্লগ লিখার ইচ্ছা আছে।
সাধারণত বিভিন্ন রিমুভেবল ডিভাইসের মাধ্যমে .exe এক্সেনশনের ফোল্ডার / অটোরান নামক .ini এক্সেনশনের ভাইরাসযুক্ত ফাইলে মাউসের ক্লিকের মাধ্যমে কম্পিউটার আক্রান্ত- হয়।
বিভিন্ন রিমুভেবল ডিভাইস যেমন : পেন ড্রাইভ, এম.পি.থ্রি প্লেয়ার, মোবাইলের মেমোরী কার্ড ও অন্যান্য মেমোরীযুক্ত ডিভাইস থেকেই সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হয়। এখানে আমি দুইটি পদ্ধতিতে সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি সফল হবেন।
পদ্ধতি-০১

যদি সমপ্রতি ফোল্ডার অপশনটি অদৃশ্য হয় এবং কম্পিউটারটির পূর্বে যে তারিখে ভাইরাসমুক্ত ছিল তা যদি আপনার মনে থাকে তবে-
>>স্টার্ট মেনু
>> অল প্রোগ্রামস্‌
>> এক্সেসরিজ

সিস্টেম টুলস্‌ থেকে সিস্টেম রিস্টোর খুলুন তারপর নেক্সট করে ভাইরাসমুক্ত তারিখটি নির্বাচন করে রিস্টোর করে নিন।
পদ্ধতি-০২
খুব সমপ্রতি আক্রান- হলে কম্পিউটারের পাওয়ার অন করে কীবোর্ডের এফ-৮ বাটনটি প্রেস করতে থাকুন। একটি মেনু আসবে সেখান থেকে Last known good configuration নির্বাচন করুন এবং কম্পিউটারটি চালু হতে দিন।
পদ্ধতি-০৩

স্টার্ট মেনু থেকে রান এ যান এবং লিখুন gpedit.msc । এন্টার প্রেস করুন।
>> administractrive templates
>> Windows components
>> Windows explorer
>> Remove the folder options menu item from the tools menu
অপশনটি নির্বাচন করে enable করে আবার disable করে দিন।

ফ্রিজ করে রাখুন উইন্ডোজকে!

কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় নানা প্রকার ফাইলপত্র বা ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করার পর অনেক টেম্পোরারী ফাইলপত্র জমে বা অনেক সময় ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ্য থেকে যায়। এভাবে বিভিন্ন ফাইলের কারণে ধীরে ধীরে কম্পিউটারকে ধীরগতির হয়ে যায়। আবার যারা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ বা সাইবার ক্যাফের ব্যবসা করেন তাদের কম্পিউটারগুলোতে অতি মাত্রায় ফাইলপত্র বাড়তে থাকে এতে ফাইলপত্রের জট সৃষ্টি হয় এবং সাথে অন্যান্য সমস্যা।
আপনার কম্পিউটারে অনাকাঙ্খিত ফাইলপত্র জমানো বা নিজে নিজে তৈরী হওয়া ফাইলগুলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব এখন থেকে Deep Freeze কে দিয়ে দিন। সারাদিন ধরে কম্পিউটারে ফাইল পত্র জমান বা অন্য যেকোন কাজ করুন এবং একবার কম্পিউটার রিস্টার্ট দিয়ে দেখুন। সব পরিষ্কার! নিচের লিংকে দেওয়া এই সফটওয়্যারটি কাজ এমনই। অর্থাৎ এটি শুধুমাত্র উইন্ডোজের যে অবস্থায় ইন্সটল করা হবে প্রতি বার কম্পিউটার রিস্টার্ট দেওয়ার পর উইন্ডোজটির ঠিক এই অবস্থাটিই পাবেন, সারাদিন তৈরী করা বিভিন্ন পরিবর্তন রিস্টার্ট এর মাধ্যমে মুছে যাবে। আপনি চাইলে সফটওয়্যারটি কাস্টমাইজ করতে পারেন, যেমন- শুধুমাত্র C ড্রাইভটিকে এরকম প্রটেকশন দিতে চাইলে ইন্সটলের সময় শুধু C ড্রাইভ নির্বাচন করে দিন। তবে এক্ষেত্রে আপনার কাজ করা সমস্ত ফাইলগুলো C ড্রাইভ বাদে অন্য যেকোন ড্রাইভে সেভ করতে হবে। কারণ C ড্রাইভে কোন পরিবর্তন সংরক্ষিত হবে না। আর বোনাস হল এই সফটওয়্যারটি ইন্সটল করা থাকলে ভয়ংকর ভাইরাসগুলো উইন্ডোজের কোন পরিবর্তন করতে পারে না। যার কারণে আপনি থাকবেন নিরাপদ।

কি-বোর্ড দিয়েই চালু করুন আপনার কম্পিউটার

আমরা সাধারণত CPU-এর পাওয়ার বাটন চেপে কম্পিউটার চালু করি। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, পাওয়ার বাটনে কোনো সমস্যা থাকলে কম্পিউটার চালু করতে অনেক কষ্ট হয়। আমরা ইচ্ছা করলে CPU-এর পাওয়ার বাটন না চেপে কি-বোর্ডের সাহায্যে খুব সহজেই কম্পিউটার চালু করতে পারি। এর জন্য প্রথমে কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় কি-বোর্ড থেকে Del বাটন চেপে Bios-এ প্রবেশ করুন।

তারপর Power Management Setup নির্বাচন করে Enter চাপুন। এখন Power on my keyboard নির্বাচন করে Enter দিন। Password নির্বাচন করে Enter দিন। Enter Password-এ কোনো একটি কি পাসওয়ার্ড হিসেবে দিয়ে সেভ (F10) করে বেরিয়ে আসুন। এখন কি-বোর্ড থেকে সেই পাসওয়ার্ড কি চেপে কম্পিউটার চালু করতে পারেন। এই পদ্ধতিটি গিগাবাইট মাদারবোর্ডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অন্যান্য মাদারবোর্ডেও এই পদ্ধতি পাওয়া যাবে।

গতি বাড়ান আপনার কম্পিউটারের + নেটগেইট রেজিষ্ট্রি ক্লিনার, দাম ১৬.৯ ডলার। কিন্তু আপনার জন্য ফ্রি!

কম্পিউটার সাধারণত স্লো হয় অপ্রয়োজনীয় ফাইলের কারণে। আমরা প্রতিদিন কম্পিউটার ব্যবহার করতে করতে অনেক অপ্রয়োজনীয় ফাইলই রেখে দিই। ভাবি যে, পড়ে কাজে আসবে। দেখা যায় যে, এটি আর কখনো কাজে লাগে না। তাছাড়া ব্রাউজার কেশ, টেম্পোরারি ফাইল, কোকিস আরো বিভিন্ন গোপন ফাইল থাকে যা শুধু শুধু দিনের পর দিন পড়ে থাকে কম্পিউটারে আর হার্ডডিস্ককে অক্ষম করে তোলে।
এমন অনেক কম্পিউটার ব্যবহারকারী দেখেছি যাদের অভিযোগ-  “কয়েকদিন আগে মাত্র কম্পিউটারটি কিনলাম আর এখনই মনেহচ্ছে স্লো হয়ে গেছে।” হবেই তো, কারণ- এই রকম অসংখ্য অপ্রয়োজনীয় ফাইলের কারণেই মূলত: কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়। ম্যানুয়্যালী এসব টেম্পোরারী ফাইল ডিলিট করা গেলেও অনেক গোপন ফাইলও থেকে যায়। ম্যানুয়্যালী এসব টেম্পোরারী ফাইল ডিলিট করতে হলে যা করতে হয়-
Windows seven, vista, xp-
Start– > Run
Type- ” %temp% ” (Without ” “) এবং এন্টার বাটন প্রেস করুন। এরপর দেখবেন একটা উইন্ডো ওপেন হবে। সেখান থেকে সব ফাইল সিলেক্ট করে মুছে দিন। এক্সপিতে অনেক সময় সব ফাইল ডিলিট হতে চায় না। সেজন্য, প্রথমে কম্পিউটারটি রিষ্টার্ট দিন তারপর এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন।
Type- ” temp ” (Without ” “) এন্টার বাটন প্রেস করুন। পূর্বের মতই একটা উইন্ডো ওপেন হবে। এবং সব ফাইল মুছে ফেলুন।
Type- ” prefetch ” (Without ” “) এন্টার বাটন প্রেস করুন। উইন্ডো ওপেন হলে সব ফাইল মুছে ফেলুন।
Type – ” recent ” (Without ” “) for XP user’s only. এন্টার বাটন প্রেস করুন এবং উইন্ডো ওপেন হলে সব ফাইল মুছে ফেলুন।
Type- ” cookies ” (Without ” “) for XP user’s only. এন্টার বাটন প্রেস করুন এবং উইন্ডো ওপেন হলে সব ফাইল মুছে ফেলুন।
এই পদ্ধতিতেও আপনি অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে ফেলতে পারেন। তারপরও কিছু গোপন ফাইল থেকে যায় যা আপনার হার্ডডিস্ক এর জায়গা দখল করে রাখে। এই সব গোপন ফাইল মুছে ফেলতে এই নেটগেইট রেজিষ্ট্রি ক্লিনার সফটওয়্যারটি ব্যবহার করুন। আশা করি আপনার কাজে লাগবে। এই সফটওয়্যারটি এক্সপি ব্যবহারকারীদের জন্য ভাল কাজ করে। সেভেনের ব্যবহারকারীরাও চেষ্টা করতে পারেন।

বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

একটি ফোটা বৃষ্টি হবে?

একটি ফোটা বৃষ্টি হবে? বৃষ্টি!
তুলোর মতো নরম ছোয়ায়
শাদা বরফ গলার আগে
যেমন করে বন্ধ থাকে দৃষ্টি।

একটি ফোটা বৃষ্টি হবে? বৃষ্টি!
বুকের ওপর টুপ টুপ টুপ
চোখ ছোয়ানো জলের চুমু
যেমন করে আবেশ ছড়ায়
দারুচিনি বনের মতো মিষ্টি।

একটি ফোটা বৃষ্টি হবে? বৃষ্টি!
খড় কুড়ানো পাখির ঠোঁটে
যেমন করে রাত্রি বুনে
নতুন আলোর সকাল হবে সৃষ্টি

একটি ফোটা বৃষ্টি হবে? বৃষ্টি!

হয়তো দেখোনি তুমি, হয়তো তোমার মনে নেই

হয়তো দেখোনি তুমি, হয়তো তোমার মনে নেই
এইখানে একদিন নদীর যৌবন ছিলো ভরপুর
এইখানে একদিন জননীর আঁচল ছিলো বৃক্ষছায়ায়
হয়তো দেখোনি তুমি-পাখ-পাখালির নির্লোভ সংসার
হয়তো মাখোনি তুমি পাতাঝরা সকালের আনচান।

এইখানে একদিন দুর্বার বুকে ছিলো-শিশিরের ঘ্রাণ
হয়তো দেখোনি তুমি আমের মুকুলে গুচ্ছ ভালোবাসা
হয়তো তোমার মনে নেই-আষাঢ়ের বানভাসি স্নান
মনে নেই, একদিন এই কাঁঠালের বনে ঝুলেছিলো মৌচাক!

হয়তো দেখোনি তুমি, হয়তো তোমার মনে নেই
খইয়ের মাচান থেকে উড়ে যেতো পায়রার ঝাঁক
বনফুল-টেংকুলে বসতো এসে-ছোট্ট টুনটুনি
হয়তো দেখোনি তুমি হয়তো তোমার মনে নেই
সরষের হলদে ফুলে উড়তো অপরূপ প্রজাপতি
ঝাঁক বেঁধে শীতের পাখিরা আসতো এখানে-এইখানে

খুব ধীরে খুঁড়ে দেখো-এইখানে এই পায়ের নিচে
এখনও জেগে আছে প্রেম-জোনাকির হরিৎ চোখ
হয়তো দেখোনি তুমি, হয়তো তোমার মনে নেই
এইখানে জেগেছিলো লালমোরগের ঘাড়টান ভোর
এখানেই লেখা ছিলো ভালোবাসা, পাড়ভাঙা প্রেম।

সেই প্রেম আজ নেই, সেই গান ভুলে গেছে পাখি
গভীর আর্তনাদে আহত মাটির কোথায় লুকাবে তুমি!
এই ঘাসের ডগায় পিঠ রেখে শুয়ে দেখো একবার-
এখানে কাতরায় মেকি-সভ্যতার বাকি ইতিহাস!

রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

আমি সেন্ট ভ্যালেনটাইন বলছি….আসুন কিভাবে ১৪ফেব্রুয়ারি ভ্যালেটাইন ডে (বিশ্ব ভালোবাসা দিবস)হলো তা জেনে নিন…

অনেক দিন আগের কথা….আমি (ভ্যালেটাইন) তখন রোমে বাস করতাম..
৩য় শতকে কথা…তখন রোমের রাজা ছিলেন..ক্লুডিয়াস ২য়
তিনি স্বৈরাচারি রাজা ছিলেন
আমি তাকে ঘৃণা করতাম…শুধু আমি নই..আমারা,রোমের সর্ব জন সাধারনও
ক্লুডিয়াস ২য় চেয়েছিলেন রোমের সেনাবাহিনী হবে সেই সময় কার পৃথিবীর বৃহত্তম সেনাবাহিনী…
তাই তিনি সৈনিক নিয়োগ শুরু হলো.….কিন্তু অনেকেই যুদ্ধ করতে চাইলো না
রাজা ক্লুডিয়াস ২য় বেকায়দায় পড়লেন…
তিনি ভাবতে থাকলেন এবার কি করা যায়……….
দুষ্টু বুদ্ধি এলো মাথায়,তিনি ভাবলেন যদি কেউ বিবাহ না করে তাহলে যুদ্ধে সবাই মন দেবে..
রাজা ক্লুডিয়াস ২য় নির্দেশ দিলেন …..রোমে নতুন বিবাহ নিষিদ্ধ ….
যুবক যুবতিরা গেলেন খেপে।
তারা রাজাকে নিষ্ঠুর রাজা বলে সম্বোধন করলেন….
আমি (ভ্যালেটাইন) তখন রোমের ধর্ম যাজক ছিলাম..
কিন্তু আমারই এক শিষ্য প্রেমে আবদ্ধ হলো…তারা বিয়ে করতে চাইলো…
কিন্তু রাজা ক্লুডিয়াস ২য় এর নির্দেশআমি কি করি….
আমি রোমের ধর্ম যাজক প্রেমকে আস্বিকার করি কি করে….
তাই গোপন বিবাহ আয়োজন করলাম..
একটি আন্ধকার ঘর,একটি জ্জ্বলন্ত মোমবাতি,আমি এবং আমার শিষ্য প্রেমিক যুগল…
আমি বিড়বিড় করে মন্ত্র উচ্চারণ করলাম….

কিন্তু হায়..‘যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়’
তাই গোপন সূত্রে খরব পেয়ে সেনাবাহিনী আমাকে ধরে নিয়ে গেলো….
নিক্ষেপ করলো অন্ধকারাগারে……
আমার মৃত্যু দণ্ড ঘোষনা করা হলো…
আমি যখন জেলে বন্দি ছিলাম তখন আমাকে দেখতে রোমের যুবক যুবতিরা এসেছিলো...
সবাই আমার বন্ধু-বান্ধবী…
এসেছিলো হাতে নিয়ে রক্ত গোলাপ...
সেই জেলের রক্ষির ছোট্ট মেয়ে আমার সাথে দেখা করতে চাইলো…
তার সাথে নিরবে কাথা বললাম…
সে বললো ‘কেন তুমি গোপনে বিয়ে দিলে…তোমাকে সকলের সামনে বিয়ে দিতে হতো’
তাই আমার (ভ্যালেটাইন) মৃত্যুর আগে আমি আমার বন্ধুদের প্রতি একটি নেট লিখেছিলাম….
…..“ভলোবাসা…তোমার ভ্যালেনটাইলের পক্ষ থেকে”
১৪ ফেব্রুয়ারি ২৬৯ খ্রীষ্টাব্দ, আমার মৃত্যু দিন আসন্ন…
এই দিনই আমার (ভ্যালেটাইন) দেহ থেকে আমার মাথা আলাদা করা হয়…..
এর পর অনেক দিন কেটে গেছে….গঙ্গা-পদ্মা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে
৪৯৬ খ্রীষ্টাব্দের কথা…রোমের পোপ জেলাসিয়াস ১৪ ফেব্রুয়ারি কে ভালোবাসা দিন হিসাবে ঘোষনা করেন..
আমার
(ভ্যালেটাইন) মৃত্যু দিনকে আমার স্মরণে……
এবং আজও এই দিনটি প্রেম বিনিময়ের দৃষ্টান্ত হয়ে আছে….

প্রেমিক প্রেমিক আমি (ভ্যালেটাইন) চিরদিন তোমার পাশে আছি …তোমার পাশেই থাকবো….
তোমরা অকুতোভয়ে এগিয়ে যাও……….

শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

ইচ্ছে মত বদলে ফেলুন আপনার ড্রাইভের আইকন

ইচ্ছে মত বদলে ফেলুন আপনার ড্রাইভের আইকন


ড্রাইভের আইকন চেঞ্জ করার জন্য প্রয়োজন Autorun.inf ফাইল এবং আপনার পছন্দ মত একটি আইকন।
ধরুন আপনার আইকনটির নাম MY ICON
এবার Autorun.inf ফাইল তৈরি করার জন্য একটি নোটপ্যাড খুলে নিচের সংকেত গুলো লিখুন এবং Autorun.inf নামে সেভ করুন।
[autorun]
ICON=MY ICON.ico
***********************
দেখবেন Autorun.inf ফাইল তৈরি হয়েগেছে।
এবার আপনার পছন্দের আইকন এবং autorun ফাইলটি আপনার পছন্দের ড্রাইভে পেষ্ট করুন।
ফাইল দুটি হিভেন করে কম্পিউটার রিস্টাট করলে দেখবেন আপনার ড্রাইভের আইকন চেঞ্জ হয়েগেছে।
এভাবে আপনার সব ড্রাইভের আইকন ইচ্ছে মত চেঞ্জ করতে পারেন।

ছোট একটি সফটওয়্যার দিয়ে আপনার কম্পিউটারকে সম্পুন্ন বাংলা ভাষায় পরিনত করুন ...

আপনাদেরকে একটি ছোট সফটওয়্যার দিব জা দিয়ে আপনার কম্পিউটারকে খুব সহজে মাত্রিভাষা বাংলায় পরিনত করতে পারবেন ...।

সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করার পর ইন্সটল করলেই আপনার কম্পিউটার বাংলা ভাষায় পরিনত হবে ...

ডাউনলোড করার জন্য এখানে ক্লিক করেন

Xp setup দিন মাত্র ১৫ মিনিটে,সফটওয়্যার লাগবে না

Xp setup দিন মাত্র ১৫ মিনিটে,সফটওয়্যার লাগবে না
• Boot your pc via bootable windows xp cd
• Window will load all files and after that in partition option select “C”
• Select type i.e NTFS or FAT to format the partiton
• Wait untill the pc try to restart, press enter to restart pc
• Once the restart completed and a screen of os installation appear, press “Shift + F10 key” to open cmd prompt
• In cmd prompt type “Taskmgr”, it will open “task manager”
• Goto “Process” tab and find “Setup.exe” process
• To set priority right click on Setup.exe and select “Set Priority”
• A submenu will open, here select the priority to “high” or above “Normal”, By default the priority will be Normal
আপনি যদি করতে পারেন তাহলে জানাবেন,আমি করতে পারছি তাই আপনাদের জানালাম......

''স্বপ্ন হবে রেকর্ড''

ধর্মতত্ত্ব বা জ্যোতিষ শাস্ত্রের পর সর্বপ্রথম মনোবিজ্ঞানই স্বপ্নের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এবার আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানেও যুক্ত হতে যাচ্ছে স্বপ্নের ব্যাখ্যা দেওয়ার কৌশল। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাঁরা এমন একটি ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডার আবিষ্কার করতে যাচ্ছেন, যা মানুষের মস্তিষ্ক কোষে স্থাপন করে স্বপ্নের ব্যাখ্যা বের করা যাবে। এমনকি মানুষ কোমায় থাকা অবস্থায়ও কী চিন্তা করছে, তাও বলে দিতে পারবে যন্ত্রটি।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনলজির (ক্যালটেক) একদল বিজ্ঞানী এই যন্ত্রটি উদ্ভাবনে কাজ করছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ন্যাচার সাময়িকীতে তাঁদের এ সংক্রান্ত একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ইনস্টিটিউটে বিজ্ঞানী ড. মোরেন কার্ফের নেতৃত্বে এ গবেষণাটি পরিচালিত হয়।
বিজ্ঞানীরা জানান, তাঁরা তড়িৎবাহী এমন একটি যন্ত্রের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন, যা মস্তিষ্কের উচ্চতর পর্যায়ের কার্যক্রম রেকর্ড করতে পারবে। এখন পর্যন্ত মানুষ কেবল ঘুম থেকে জাগার পর মনে থাকা স্বপ্নের কথাই বলতেই পারে। কিন্তু সম্ভাব্য যন্ত্রটি আবিষ্কার সম্পন্ন হলে মানুষ তার সব স্বপ্নই রেকর্ডার থেকে আবার দেখতে পারবে। একই সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যক্রমের ইলেক্ট্রনিক দৃশ্যায়নও দেখা যাবে। মস্তিষ্ক কোষে প্রতিস্থাপন করার পর যন্ত্রটি মস্তিষ্কের ইলেক্ট্রনিক উপাত্তের ব্যাখ্যা দিতে পারবে।
বিজ্ঞানীরা জানান, তাঁরা প্রাথমিক গবেষণার অংশ হিসেবে ১২ জন স্বেচ্ছসেবক মানসিক রোগীর ওপর একটি পরীক্ষা চালান। এতে তাঁদের মস্তিষ্কের স্মৃতি ধারণ করার একটি বিশেষ অংশের (মিডিয়াল টেম্পোরাল লোব নামে পরিচিত) কিছু কোষের ইলেক্ট্রনিক ডেটা রেকর্ড করা হয়। এ সময় তাদের প্রত্যেককে কিছু ছবি দেখানো হয়। তাতে দেখা গেছে, রোগীরা তাঁদের মস্তিষ্কের স্মৃতিতে থাকা ছবিগুলোর মধ্যে একটির ওপর আরেকটি প্রতিস্থাপন করে এক ধরনের 'হাইব্রিড ইমেজ' বা সংকর ছবির দৃশ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে। একপর্যায়ে তাঁরা সফলভাবে ছবিগুলোর সঠিক স্মৃতিচিত্র মানসপটে আনতে সক্ষম হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই সাফল্যের ওপর ভিত্তি করেই স্মৃতিসহ স্বপ্নের রেকর্ড ও ব্যাখ্যা দেওয়ার যন্ত্র আবিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে প্রধান গবেষক ড. কার্ফ বলেন, 'মানুষ কেন স্বপ্ন দেখে, এখন পর্যন্ত এর সঠিক কোনো জবাব নেই। কিন্তু আমরা যদি যন্ত্রটি প্রকৃত অর্থেই উদ্ভাবন করতে সচেষ্ট হই, তাহলে এর সঠিক জবাব পাওয়া যাবে।

এ বছরই দ্বিতীয় সূর্য দেখবে পৃথিবীবাসী!

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা জানিয়েছেন চলতি বছরেই হয়তো পৃথিবীবাসী নতুন একটি নক্ষত্রের সাক্ষাৎ পেতে যাচ্ছে। সৌরজগতের প্রাণকেন্দ্র সূর্য ছাড়াও পৃথিবীকে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ আলোকিত করে রাখবে আরেকটি নক্ষত্র। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইন-এর।

ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ডের গবেষকরা জানিয়েছেন, এ বছরের শেষ দিকে পৃথিবী থেকে ৬৪০ আলোকবর্ষ দূরের অরিয়ন নক্ষত্রপুঞ্জের বেটেলগেজ নক্ষত্রটি বিস্ফোরিত হবে। লাল বামন এই নক্ষত্রটির বিস্ফোরণের ফলেই তৈরি হবে সুপারনোভা। সুপারনোভা বা নাক্ষত্রিক এই বিস্ফোরণই পৃথিবীতে রাতের আকাশকে আলোকিত করে রাখবে। আর পৃথিবীবাসী দুইটি সূর্য দেখবে।

গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, আকাশের অন্যতম উজ্জ্বল এই নক্ষত্রটি বিস্ফোরিত হলে সেই বিস্ফোরণ হবে পৃথিবী তৈরির পর থেকে সবচেয়ে বড় আলোক প্রদর্শনী। আর আলোর এই বন্যায় পৃথিবীর রাতের আঁধার চলে যাবে এবং ২/৩ সপ্তাহ জুড়ে রাতের বেলাও দিনের আলো থাকবে।

ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ডের গবেষক ব্র্যাড কার্টার জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষ দিকে সুপারনোভার এই বিস্ফোরণ ঘটার আশংকা রয়েছে আর যদি এমনটা না ঘটে তবে এই বিস্ফোরণ হতে হতে কয়েক লাখ বছর পেরিয়ে যাবে।

মিথিলার চিঠি(কবিতা)..

অনন্ত,মেহেদী পাতা দেখেছো নিশ্চয়ই..ওপরে সবুজ,ভেতরে রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত.!নিজেকে আজকাল,রড় বেশী মেহেদী পাতার মত মনে হয় কেন..ওপরে আমি অথচ ভেতরে কষ্টের যন্তনার এমন সব বড় বড় গর্ত যে,তার সামনে দাড়াতে নিজেরই ভয় হয়,অনন্ত।
তুমি কেমন আছো?বিরক্ত হচ্ছো নাতো?ভালোবাসা যে মানুষকে অসহায়ও করে তুলতে পারে,সেদিন তোমায় দেখার আগ পর্যন্ত আমার জানা ছিল না।তোমার উদ্দাম ভালোবাসার দূত্যি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খার করে ফেলেছে আমার ভেতর,আমার বাহির.!আমারই হাতে গড়া আমার পৃথিবী।অনন্ত,যে মিথিলা সুখী হবে বলে ভালোবাসার পূর্ন চন্দ্র গিলে খেয়ে ভেজা মেঘের মত উড়তে উড়তে চলে গেল,আজও শূন্য অনন্তকে আরও শূন্য করে দিয়ে।তার মুখে এসব কথা মানায়না,আমি জানি।কিন্তু আমি আর এভাবে,এমন করে পারছি না..!আমার চারদিকের দেয়াল জুড়ে থৈ থৈ করে আমার স্বপ্ন ক্ষুণে রক্ত,উদাস দুপুরে বাতাসে শিস দেয় তোমার সেই ভালোবাসা.!পায়ে পায়ে ঘুরে ফেরে ছায়ার মতন তোমারই সৃতি।আমি আগলাতেও পারিনা,আমি ফেলতেও পারিনা..।সুখী হতে চেয়ে এখন দেখি দাড়িয়ে আছি একলা আমি,কষ্টের তুষার পাহারে.!অনন্ত.,তোমার সামনে দাড়ানোর কোন যোগ্যতাই আজ আমার অবশিষ্ট নেই। তবুও...তবুও,তুমিই একদিন বলেছিলে-
"ভেজা মেঘের মত অবুঝ আকাশে উড়তে উড়তে..জীবনের সুতোয় যদি টান পরে কখনো,চলে এসো,চলে এসো.,বুক পেতে দিবো।আকাশ বানাব,আর হাসনা-হেনা ফোটাব.."
সুতোয় আমার টান পড়েছে,অনন্ত।তাই আজ আমার সবকিছু আমার একরোখা জেদ,তুমিহীন সুখী হওয়ার অলীক স্বপ্ন..।সব,সব কিছু জলাণ্জলী দিয়ে তোমার সামনে আমি নত যেন।আমায় তোমাকে আর একবার ভিক্ষে দাও..!কথা দিচ্ছি,তোমার অমর্যাদা হবে না কোনদিন।অনন্ত,আমি জানি,এখন একলা পাষান কষ্টনিয়ে ঘুরে বেড়াও।
প্রচন্ড এক অভিমানে ক্ষনে ক্ষনে গর্জে ওঠে অগ্নিগিরি কেউ জানে না, আমি জানি।কেন তোমার মনের মাঝে মন থাকে না,ঘরের মাঝে ঘর থাকে না।উঠোন জোরা রূপোর কলস,তুলসী তলের ঝরা পাতা,কুয়ো তলার শূন্য বালতি,বাসন-কোসন,পূর্নীমার আমাবস্যার একলা ঘরে এই অনন্তের একা একা শুয়ে থাকা কেউ জানে না,আমি জানি।কেন তুমি এমন করে কষ্ট পেলে,সব হারিয়ে বুকের তলের চিতা নলে।কেন তুমি নষ্ট হলে.,কার বিহনে চুপি চুপি ধীরে ধীরে,কেউ জানে না,আমি জানি..!আমিই জানি..!
আগামী শনিবার ভোরের ট্রেনে তোমার কাছে আসছি।অনন্ত..,
আমায় আর কিছুনা দাও,অন্তত শাস্তিটুকু দিও.!ভালো থেকো,তোমারই হারিয়ে যাওয়া_মিথিলা...

নির্বাক যন্ত্রণা (ছোটগল্প)

নির্বাক যন্ত্রণা (ছোটগল্প)
.

“বাদাম দেইখা চাইয়া থাকি ই ই ই ই
আমার নি কেউ আসে রে ……..”

সূর্য্য ঢলে পড়েছে পশ্চিম দিগন্তে। কমলা রঙের তির্যক রোদ এসে পড়ছে শিবলীর মুখে। বেড়াবিহীন বারান্দায় বসে কাঠ চেঁচে পুতুল বানাতে বানাতে বারী সিদ্দিকীর “আষাঢ় মাইস্যা ভাসা পানি রে” গানটা গাইছিলো শিবলী। “বাদাম দেইখা চাইয়া থাকি ই ই ই ,আমার নি কেউ আসে রে ……..” কানে যেতেই তিন বছরের অপ্সরী দৌড়ে এলো,
: মামা ! এই নাও দুই টাকা।

ততক্ষণে শিবলীর চোখ মুখ গোল। অবাক হয়ে সে জিজ্ঞাসা করলো,
: টাকা দিয়ে আমি কি করবো!
: বাদাম কিনে খাবে।
: কেন?
: তুমি অন্যের বাদাম দেখে চেয়ে থাকো, এটা ভালো কাজ নয় মামা। লোকে খারাপ বলবে।

এইবার ব্যাপারটা পরিস্কার হয় শিবলীর কাছে। সে আনমনে যে গান গাইতেছিলো, ছোট্ট অপ্সরী সেই শুনেই ধরে নিয়েছে ওর মামা বাদম খাবার জন্য বাদাম দেখে চেয়ে থাকে। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে শিবলীর হাসিতে ফেটে পরাটাই স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু সে হাসলো না। অপ্সরীকে বুকের মধ্যে টেনে নিলো। অপ্সরীর মাথার তালুটা ঠেকে আছে শিবলীর থুঁতনিতে। ওর নরম রেশমের মতো চুলের ভেতর চুমু খেলো শিবলী।

: আচ্ছা মা, এই দুই টাকা তুমি কোথায় পেলে?
: মনে নেই তোমার ! কাল বিকেলে আমায় দিয়েছিলে…. আচ্ছা মামা! এই পুতুলটা কার জন্য বানাচ্ছো?
: তাতো জানি না! হতে পারে আমার মায়ের জন্য।
: তোমার মা কই থাকে?
: আমার বুকের মধ্যে থাকে।
: ও ও ও ও

দুজনেই একটু চুপ করে থাকার পর অপ্সরী বলে,

: মামা, আমাকেও একটা পুতুল বানিয়ে দেবে?
: দেবো মা।

আবারও চুপ হয়ে যায় অপ্সরী। মেয়েটার এই এক বৈশিষ্ট্য— একটু কথা বলেই বড় মানুষদের মতো গম্ভীর হয়ে থাকবে কিছুক্ষণ।

: মামা, তোমার মা কে ?
: তুমি ই আমার মা।
: তাই ! তাহলে আমার মা কে? মাকে দেখি না কেন? সে কোথায় থাকে?

অপ্সরীর মায়াভরা চোখ দু’টোতে একরাশ জিজ্ঞাসা। ওর এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হবার জন্য প্রস্তুত ছিলো না শিবলী। কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না, তাই যা মুখে আসে,বলে দেয় সে।
: দেখো তো, মা ! প্রায় রাতেই তো তুমি তোমার মাকে দেখো। তোমার মা ঐ আকাশে থাকে। তুমি রাতে যে তারা দেখো না—তাদের মধ্যে যে তারাটা সবচেয়ে বড় আর বেশি ঝিলমিল করে, সে হচ্ছে তোমার মা।
: মা আমার কাছে থাকে না কেন মামা ? আমার যে মার কাছে থাকতে ইচ্ছে করে…

এরপর আর কথা সরে না শিবলীর মুখে । স্মৃতিপটে ভেসে উঠতে থাকে অনেক কিছু।

খুব পুতুলের শখ ছিলো শিউলীর। প্রতি বছর বৈশাখী মেলায় আর কিছু না হোক একটা পুতুল সে কিনতোই কিনতো। আর সারা বছরে কতবার যে আবদার করেছে “দাদাভাই, একটা পুতুল বানিয়ে দাও না ! তোমার বানানো পুতুল সবচাইতে সুন্দর হয়।”

শিউলীর শখ আর আবদার পূরণ করতে গিয়েই পুতুল বানাবার কৌশলটা রপ্ত হয়ে গেছে শিবলীর। এখন সে আর কারো আবদারের অপেক্ষায় থাকে না, বাতাসে শুকনো পাতার মর্মরে যেন সে শুনতে পায় শিউলীর কন্ঠস্বর। বাগানে একটা অচেনা পাখি হঠাৎ ডেকে ওঠে, শিবলীর মনে হয় শিউলী যেন পাখি হয়ে তাকে বলছে, “দাদাভাই! একটা পুতুল বানিয়ে দাও না”। চৈতালি সাঁঝে মাঠ থেকে যখন ভেসে আসে রাখালিয়া বাঁশির সুর, শিবলীর মনে হতে থাকে, শিউলী না জানি কতো আবদার করে যাচ্ছে তার কানে। তাই এখন সে যখন-তখনই পুতুল বানায়। তার বড় আদরের বোনটাকে মনে করে সে কাঠের বুক খুদে বের করে আনে নানা রকম অভিব্যক্তি ভরা পুতুল-মুখ।

অপ্সরীর জন্মের সময় শিউলী ছেড়ে গেছে প্রিয় দাদাভাই শিবলীকে। অপ্সরীর বাবা শিউলীকে ছেড়ে গেছে তারও ছ’মাস আগে। বুঝি অপ্সরীকে পৃথিবীতে পৌঁছে দেবার জন্যই শিউলীর এ ছয়টা মাস এখানে থাকা। স্বামীঅন্তপ্রাণ ছিলো সে, আর অপ্সরীর বাবাও শিউলীকে প্রাণের চাইতে বেশি ভালোবাসতো। সেই ভালোবাসা থেকে শিউলী তাই নিজেকে বেশি দিন দূরে রাখতে পারলো না।

“অপ্সরী” নামটাও শিবলীর রাখা। বোনের মৃত্যুর পর আর বিয়ে থা-র কথা মাথায়ই আনেনি সে, অপ্সরীকে বুকে নিয়েই কাটিয়ে দিচ্ছে দিন। অপ্সরীটা দেখতে হয়েছে ঠিক ওর মায়ের মতো…গোলগাল মুখ আর বড় বড় দুইটা চোখ কিন্তু নাকটা বোঁচা। তাই ওকে দেখতে পুতুল পুতুল লাগে। মা পুতুল ভালোবাসতো বলেই পৃতিবীতে একটা পুতুল রেখে গেছে হয় তো। অপ্সরী স্বভাবটাও পেয়েছে মায়ের। বোধ খুব তীক্ষ্ণ ওর, এতটুকুন মেয়ে ! যে কথাটা ওর বুঝবার কথা নয়, তাও সে বুঝে যায় কিভাবে যেন! আর পুতুল বলতেই পাগল। ঘরে কয়েক কুড়ি পুতুল রয়েছে তার, নিজের আর মায়েরগুলো এখন তার সম্পদ। তারপরও আজ বললো, “মামা, আমাকেও একটা পুতুল বানিয়ে দেবে?” এ তার কোনো দিন শেষ না হওয়া আবদার, যেন মায়ের শখের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার দায়িত্ব নিয়ে সে এসেছে পৃথিবীতে; আর এসে সে হয়ে গেছে মামার পৃথিবী।

অনেক কথা, অনেক স্মৃতি ঘুরপাক খাচ্ছে শিবলীর মনে, খুব ওলট-পালট চলছে মনের ভেতর। জল গড়াচ্ছে চোখে। আজ আর পুতুল বানাবার ইচ্ছে নেই শিবলীর। অপ্সরীও যেন বুঝতে পারছে তার মনের অবস্থা। চুপচাপ বসে আছে মামার বুকের সাথে লেগে। ওদিকে সূর্য্যটাও ডুবে গেছে আধা, এরই মধ্যে উঠানের কোণের ডালিম গাছের ওদিকে কোথাও বসে ডাকতে শুরু করেছে কয়েকটা ঝিঁঝি পোকা। শিবলীর প্রাণের ভেতর হু হু করে ওঠে একটা ব্যথা। অপ্সরীকে আরও শক্ত করে বুকে জড়িয়ে ধরে যেন সেই ব্যথাটা চাপা দিতে চাচ্ছে সে।