তাই চলুন দেরি না করে ইন্টারনেট সর্ম্পকে কিছু জানতে চেষ্টা করি।

২ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে দুটো জগদ্দল ভারী, বিরাটকায় কম্পিউটার ক্যাবল দিয়ে জুড়ে, তার একটা থেকে অন্যটায় নিছকই কিছু হাবিজাবি তথ্য পাঠিয়েছিলেন ক্লাইনরক। জনা কুড়ি লোকের সামনে ঠিক সেই মুহূর্তেই জন্ম হয়েছিল ইন্টারনেটের পূর্ব পুরুষ ‘আরপানেট’ নেটওয়ার্কের। তবে ইন্টারনেটের মূল উদ্যোগটা ছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা গবেষণা বিভাগ (আর পা)-এর। উদ্দেশ্য ছিল প্রযুক্তির মাধ্যমে সারা বিশ্বকে হাতের মুঠোয় আনা। ‘আর পা’র উদ্যোগে তৈরি বলেই নাম হয়েছে ‘আরপানেট’। মজার কথা, যে ভাবনা থেকে আজকের ফেসবুক বা ইউটিউবের জন্ম, ষাটের দশকে আরপানেট নিয়ে তোলপাড়ের সময়ে ক্লাইনরকদের মাথায় কিন্তু প্রায় একই ভাবনা ঘুরছিল- অবাধ তথ্য আদানপ্রদানের একটা নেটওয়ার্ক তৈরি। সে যা-ই হোক, প্রথম পরীক্ষা সফল হতেই ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আরপানেটের মাধ্যমে জুড়ে গেল আরো চারটে প্রতিষ্ঠান। গতি বাড়ল কাজের।
পুরোদস্তুর ইন্টারনেট অবশ্য এল সত্তরের দশকে। যখন আবিষ্কার হলো ‘ইন্টারনেট প্রোটোকল স্যুট’ (আইপি)। আরপানেটের মতো একাধিক নেটওয়ার্ক কে জুড়ে দেয়ার কৌশলটা হয়ে গেল জলবৎ তরল। একই সঙ্গে এল ই-মেল। আশিতে এল ‘ডট কম’ আর ‘ডট ওআরজি’। আর নব্বইয়ের দশকে ব্রিটিশ পদার্থবীদ টিম বার্নস লি বের করে ফেললেন ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব’ ( www )। একটি শব্দবন্ধ, যাতে মাউস ছুঁইয়ে বা কি-বোর্ড চেপে নিমেষে পৌঁছে যাওয়া গেল বহুদূরের কাক্সিক্ষত তথ্যে। ব্যস, সাধারণ মানুষের ঘরে ঢুকে পড়ল ইন্টারনেট।
সংগ্রহ –
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন